খেজুরের কথা বলতে গেলে মানের দিক থেকে সবচাইতে উপরের দিকে যে নামটি আসে তা হলো “আজওয়া”।
খেজুরের অনেক অনেক উপকারিতা বৈজ্ঞানিকভাবেই পাওয়া যায়। প্রাকৃতিক আঁশের আধিক্য থাকায় এর উপকারিতা ও গুরুত্ব অনেক। গবেষকদের মতে শুকনা খাবারের মধ্যে খেজুরেই সবচেয়ে বেশি পলিফেনল থাকে। বিপজ্জনক অনেক রোগ থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে পলিফেনল। খেজুরের চেয়ে ভালো পটাশিয়াম উৎস আর হয় না। এটা সোডিয়ামেরও ভালো উৎস। কিডনি ও স্ট্রোক জটিলতা এড়াতে এর ব্যাপক প্রয়োজন রয়েছে। এ কারণে চিকিৎসকরা প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
খেজুরের মধ্যে প্রয়োজনীয় পরিমাণে তেল, ক্যালসিয়াম, সালফার, আইরন, পটাসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, কপার এবং ম্যাগনেসিয়াম বিদ্যমান যা সুস্বাস্থ্যের জন্য খুব দরকারী কিন্তু আজওয়া খেজুরের ব্যাপারে সয়ং রাসুলাল্লাহ সা.-ই বলেছেন।
হাদীস গ্রন্থগুলোতে পাওয়া যায় এ সম্পর্কে অনেক হাদিস।
তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হলোঃ
“আজওয়া খেজুর এসেছে স্বয়ং জান্নাত থেকে” [১]
“নিশ্চয়ই আলিয়ার (মদিনার একটি গ্রামের নাম) আজওয়া খেজুরে রোগ নিরাময়কারী এবং প্রাতঃকালীন প্রতিষেধক।“ [২]
“যে ব্যক্তি প্রত্যহ সকালে সাতটি আজওয়া খেজুর খাবে, সেদিন তাকে কোনো বিষ ও যাদু ক্ষতি করতে পারবে না। আজওয়া খেজুর হলো মদিনার উৎকৃষ্ট মানের খেজুর।”[৩]
—————————-
১। তিরমিজি ২০৬৮
২। সহিহ মুসলিম
৩। সহিহ বুখারি ও মুসলিম
আজওয়া খেজুরের উপকারিতায় রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
‘যে ব্যক্তি প্রত্যেহ সকালে সাতটি আজওয়া খেজুর খাবে, সেদিন তাকে কোনো বিষ ও যাদু ক্ষতি করতে পারবে না। আজওয়া খেজুর হলো মদিনার উৎকৃষ্ট মানের খেজুর।’
(বোখারি ও মুসলিম)
হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
‘নিশ্চয়ই আলিয়ার (মদিনার গ্রাম) আজওয়া খেজুরে রোগ নিরাময়কারী এবং প্রাতঃকালীন প্রতিষেধক।’
(সহিহ মুসলিম)
আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,
“আজওয়া হলো বেহেশতের খেজুরের অন্তর্ভুক্ত এবং এটা বিষের প্রতিষেধক।”
(সুনান আত তিরমিযি-২০৬৮)
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন
“আজওয়া খেজুর এসেছে স্বয়ং জান্নাত থেকে”।
(তিরমিজী ২০৬৮)।
এই খেজুর রাসূলুল্লাহ (সা:) এর সবচেয়ে পছন্দের ছিল। রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা ও অসাধারণ স্বাদের কারণে একে ‘কিং অফ ডেটস’ আখ্যা দেয়া হয়। এই খেজুর তুলনামূলকভাবে নরম ও শুষ্ক হয়।
>>> খেজুর কেন খাবেন?
> খেজুরে আছে অনেক গুণ। প্রাকৃতিক আঁশের আধিক্য থাকায় এর উপকারিতা ও গুরুত্ব অনেক। গবেষকদের মতে শুকনা খাবারের মধ্যে খেজুরেই সবচেয়ে বেশি পলিফেনল থাকে। বিপজ্জনক অনেক রোগ থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে পলিফেনল। খেজুরের চেয়ে ভালো পটাশিয়াম উৎস আর হয় না। এটা সোডিয়ামেরও ভালো উৎস। কিডনি ও স্ট্রোক জটিলতা এড়াতে এর ব্যাপক প্রয়োজন রয়েছে। এ কারণে চিকিৎসকরা প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। খেজুরের মধ্যে প্রয়োজনীয় পরিমাণে তেল, ক্যালসিয়াম, সালফার, আইরন, পটাসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, কপার এবং ম্যাগনেসিয়াম বিদ্যমান যা সুস্বাস্থের জন্য অতি দরকারি।
>> আজওয়া খেজুরের আরো অনেক উপকারিতা আছে। যেমন –
> স্নায়ুবিক শক্তি বৃদ্ধি করে
> হৃদরোগীদের জন্য বেশ উপকারী
> রক্ত উৎপাদনকারী
> হজমশক্তি বর্ধক, যকৃৎ ও পাকস্থলীর শক্তিবর্ধক
> রুচি বাড়ায়
> ত্বক ভালো রাখে
> দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে
> রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
> পক্ষাঘাত এবং সব ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অবশকারী রোগের জন্য উপকারী
> ফুসফুসের সুরক্ষার পাশাপাশি মুখগহ্বরের ক্যান্সার রোধ করে
> কোলেস্টোরল থেকে মুক্তি দেয়
> নারীদের শ্বেতপ্রদর ও শিশুর রিকেট নিরাময়ে খেজুরের কার্যকারিতা অনেক
> পাতলা পায়খানা বন্ধ করে
> পেটের গ্যাস, শ্লেষ্মা, কফ দূর করে, শুষ্ক কাশি এবং এজমার জন্য উপকারী
> উচ্চমাত্রার শর্করা, ক্যালরি ও ফ্যাটসম্পন্ন খেজুর জ্বর, মূত্রথলির ইনফেকশন, যৌনরোগ, গনোরিয়া, কণ্ঠনালির ব্যথা বা ঠান্ডাজনিত সমস্যা, শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে বেশ কার্যকরী
> মস্তিষ্ককে প্রাণবন্ত রাখে
> যাদের হার্টের সমস্যা আছে তাদের জন্য খেজুর খুবই উপকারী
> খেজুর লৌহসমৃদ্ধ ফল তাই রক্তশূন্যতা দূরীকরণে ভূমিকা রাখে
Discussion about this post