আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনে কিছু দীর্ঘ সত্য ঘটনা উল্লেখ করেছেন। ধারাবাহিক কোন ঘটনা বর্ণনার আগে তিনি ‘نحن’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন। এখানে ‘নাহনু’ শব্দটির আরবি অর্থ ‘আমরা’ হলেও উক্ত স্থানে ‘আমি’ বুঝানো হয়েছে। এ শব্দটি দ্বারা আল্লাহ তায়ালা নিজের ক্ষমতা বুঝিয়েছেন।
সূরা কাহাফের ১৩ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ‘নাহনু’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন। এরপর থেকে আস্তে আস্তে আসহাবে কাহাফ তথা গুহা বাসী যুবকদের মূল ঘটনার বর্ননা শুরু করেন।
আসহাবে কাহাফের ঘটনা পবিত্র কুরআনের অন্যতম একটি সত্য ঘটনা। এই আসহাবে কাহাফের যাত্রা কোত্থেকে শুরু হলো, কোথায় কেটেছিল তাদের সময়গুলো.. সেটা আরেকদিন লিখব ইনশাআল্লাহ। আজকে এ সূরা নাজিলের প্রেক্ষাপট থেকে একটা শিক্ষনীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।
হযরত মুহাম্মদ (স.) যে সর্বশেষ নবী, তার সত্যতার ধারক বলা যায় এ সূরাকে। রাসূল (স.) যখন নবুয়ত প্রাপ্ত হলেন, তখন কুরাইশরা ‘নাযার ইবনু হারিস’ ও ‘উকবা ইবনু মুঈতকে’ মদীনার ইয়াহুদী আলেমদের নিকট পাঠায় এ মর্মে যে, “তোমরা তাদের নিকট গিয়ে মুহাম্মদ (সঃ) এর সমস্ত অবস্থা বর্ণনা করবে।”
পূর্ববর্তী নবীদের সম্পর্কে তাদের জ্ঞান রয়েছে। সুতরাং মুহাম্মদ (সঃ) সম্পর্কে তাদের মতামত কি? তা তাদেরকে জিজ্ঞেস করবে। এই দু’জন তখন মদীনার ইয়াহূদী আলেমদের সাথে সাক্ষাৎ করে এবং তাদের নিকট হযরত মুহাম্মদে (সঃ) এর কার্যক্রম ও গুণাবলী বর্ণনা করে।
ইয়াহুদী আলেমরা মক্কার কুরাইশদের প্রেরিত দূতদের বললোঃ “দেখো, আমরা তোমাদেরকে একটা মীমাংসাযুক্ত কথা বলছি। তোমরা ফিরে গিয়ে তাঁকে তিনটি প্রশ্ন করবে।
তোমরা তাকে জিজ্ঞেস করবেঃ
১. পূর্বযুগে যে যুবকগণ বেরিয়ে গিয়েছিলেন তাদের ঘটনা বর্ণনা করুন তো? (আসহাবে কাহাফদের সম্পর্কে)
২. ঐ ব্যক্তির অবস্থা জিজ্ঞেস করবে যিনি সমস্ত পৃথিবী ভ্রমণ করেছিলেন। তিনি পূর্ব প্রান্ত হতে পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত ঘুরে এসেছিলেন। (জুলকারনাইন সম্পর্কে)
৩. তাকে রূহের অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবে।
যদি তিনি এই প্রশ্নগুলির উত্তর দিতে পারেন, তবে তোমরা তাকে নবী বলে স্বীকার করে নিবে এবং তার অনুসরণ করবে। আর যদি উত্তর দিতে না পারেন, তবে জানবে যে, তিনি মিথ্যাবাদী। সুতরাং তোমরা তাকে যা ইচ্ছা তা-ই করবে। এরা দু’জন মক্কায় ফিরে গিয়ে কুরায়েশদেরকে বলে,
“শেষ ফায়সালার কথা ইয়াহূদী আলেমগণ আমাদের বলে দিয়েছেন। ইয়াহুদী আলেমরা তাকে তিনটি প্রশ্ন করতে বলেছেন। চল আমরা তাকে প্রশ্নগুলি করি।”
অতঃপর তারা রাসূলুল্লাহর (সঃ) নিকট আগমন করে এবং তাঁকে ঐ তিনটি প্রশ্ন করে। তিনি তাদেরকে বললেনঃ “তোমরা আগামী কাল এসো, আমি তোমাদের এই প্রশ্নগুলির উত্তর দিবো।”
এখানে রাসূল (স.) “ইন শা আল্লাহ (আল্লাহ চান তো) বলতে ভুলে যান। এরপর পনেরো দিন অতিবাহিত হয়ে যায়, কিন্তু তাঁর কাছে কোন ওয়াহী আসে না, আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকেও তাঁকে এই প্রশ্নগুলির জবাব জানিয়ে দেয়া হয় হচ্ছে না । এর ফলে মক্কাবাসী ফুলে ওঠে এবং পরস্পর বলাবলি করেঃ “দেখো, আগামীকালের ওয়াদা ছিল, আর আজ পনেরো দিন কেটে গেল, তবুও সে জবাব দিতে পারলো না।”
এতে রাসূলুল্লাহ (সঃ) দ্বিগুণ দুঃখে জর্জরিত হতে লাগলেন। প্রথমত কুরাইশদেরকে জবাব দিতে না পারায় তাদের কথা শুনতে হচ্ছে, দ্বিতীয়তঃ ওয়াহী আসা বন্ধ হয়েছে। এরপর হযরত জিবরাঈল (আঃ) আগমন করেন এবং সূরায়ে কাহফ অবতীর্ণ হয়।
এ সূরার ২৩-২৪ আয়াতে রাসূল (স.) কে ইনশা আল্লাহ না বলার কারনে শাসানো হয়। গুহায় ৩০৯ বছর কাটানো যুবকদের ঘটনা বর্ণনা করা হয়। ঐ ভ্রমণকারী তথা জুলকারনাইন এর বর্ণনা দেয়া হয় এবং রূহের ব্যাপারে জবাব দেয়া হয়।
শিক্ষনীয়ঃভবিষ্যতের কোন বিষয়ে অবশ্যই ইনশা আল্লাহ বলতে হবে। এবং আপনি যা কিছু সম্পর্কে অবগত নন, তা আল্লাহর উপর চেড়ে দিন।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনে কিছু দীর্ঘ সত্য ঘটনা উল্লেখ করেছেন। ধারাবাহিক কোন ঘটনা বর্ণনার আগে তিনি ‘نحن’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন। এখানে ‘নাহনু’ শব্দটির আরবি অর্থ ‘আমরা’ হলেও উক্ত স্থানে ‘আমি’ বুঝানো হয়েছে। এ শব্দটি দ্বারা আল্লাহ তায়ালা নিজের ক্ষমতা বুঝিয়েছেন।
সূরা কাহাফের ১৩ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ‘নাহনু’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন। এরপর থেকে আস্তে আস্তে আসহাবে কাহাফ তথা গুহা বাসী যুবকদের মূল ঘটনার বর্ননা শুরু করেন।
আসহাবে কাহাফের ঘটনা পবিত্র কুরআনের অন্যতম একটি সত্য ঘটনা। এই আসহাবে কাহাফের যাত্রা কোত্থেকে শুরু হলো, কোথায় কেটেছিল তাদের সময়গুলো.. সেটা আরেকদিন লিখব ইনশাআল্লাহ। আজকে এ সূরা নাজিলের প্রেক্ষাপট থেকে একটা শিক্ষনীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।
হযরত মুহাম্মদ (স.) যে সর্বশেষ নবী, তার সত্যতার ধারক বলা যায় এ সূরাকে। রাসূল (স.) যখন নবুয়ত প্রাপ্ত হলেন, তখন কুরাইশরা ‘নাযার ইবনু হারিস’ ও ‘উকবা ইবনু মুঈতকে’ মদীনার ইয়াহুদী আলেমদের নিকট পাঠায় এ মর্মে যে, “তোমরা তাদের নিকট গিয়ে মুহাম্মদ (সঃ) এর সমস্ত অবস্থা বর্ণনা করবে।”
পূর্ববর্তী নবীদের সম্পর্কে তাদের জ্ঞান রয়েছে। সুতরাং মুহাম্মদ (সঃ) সম্পর্কে তাদের মতামত কি? তা তাদেরকে জিজ্ঞেস করবে। এই দু’জন তখন মদীনার ইয়াহূদী আলেমদের সাথে সাক্ষাৎ করে এবং তাদের নিকট হযরত মুহাম্মদে (সঃ) এর কার্যক্রম ও গুণাবলী বর্ণনা করে।
ইয়াহুদী আলেমরা মক্কার কুরাইশদের প্রেরিত দূতদের বললোঃ “দেখো, আমরা তোমাদেরকে একটা মীমাংসাযুক্ত কথা বলছি। তোমরা ফিরে গিয়ে তাঁকে তিনটি প্রশ্ন করবে।
তোমরা তাকে জিজ্ঞেস করবেঃ
১. পূর্বযুগে যে যুবকগণ বেরিয়ে গিয়েছিলেন তাদের ঘটনা বর্ণনা করুন তো? (আসহাবে কাহাফদের সম্পর্কে)
২. ঐ ব্যক্তির অবস্থা জিজ্ঞেস করবে যিনি সমস্ত পৃথিবী ভ্রমণ করেছিলেন। তিনি পূর্ব প্রান্ত হতে পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত ঘুরে এসেছিলেন। (জুলকারনাইন সম্পর্কে)
৩. তাকে রূহের অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবে।
যদি তিনি এই প্রশ্নগুলির উত্তর দিতে পারেন, তবে তোমরা তাকে নবী বলে স্বীকার করে নিবে এবং তার অনুসরণ করবে। আর যদি উত্তর দিতে না পারেন, তবে জানবে যে, তিনি মিথ্যাবাদী। সুতরাং তোমরা তাকে যা ইচ্ছা তা-ই করবে। এরা দু’জন মক্কায় ফিরে গিয়ে কুরায়েশদেরকে বলে,
“শেষ ফায়সালার কথা ইয়াহূদী আলেমগণ আমাদের বলে দিয়েছেন। ইয়াহুদী আলেমরা তাকে তিনটি প্রশ্ন করতে বলেছেন। চল আমরা তাকে প্রশ্নগুলি করি।”
অতঃপর তারা রাসূলুল্লাহর (সঃ) নিকট আগমন করে এবং তাঁকে ঐ তিনটি প্রশ্ন করে। তিনি তাদেরকে বললেনঃ “তোমরা আগামী কাল এসো, আমি তোমাদের এই প্রশ্নগুলির উত্তর দিবো।”
এখানে রাসূল (স.) “ইন শা আল্লাহ (আল্লাহ চান তো) বলতে ভুলে যান। এরপর পনেরো দিন অতিবাহিত হয়ে যায়, কিন্তু তাঁর কাছে কোন ওয়াহী আসে না, আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকেও তাঁকে এই প্রশ্নগুলির জবাব জানিয়ে দেয়া হয় হচ্ছে না । এর ফলে মক্কাবাসী ফুলে ওঠে এবং পরস্পর বলাবলি করেঃ “দেখো, আগামীকালের ওয়াদা ছিল, আর আজ পনেরো দিন কেটে গেল, তবুও সে জবাব দিতে পারলো না।”
এতে রাসূলুল্লাহ (সঃ) দ্বিগুণ দুঃখে জর্জরিত হতে লাগলেন। প্রথমত কুরাযউশদেরকে জবাব দিতে না পারায় তাদের কথা শুনতে হচ্ছে, দ্বিতীয়তঃ ওয়াহী আসা বন্ধ হয়েছে। এরপর হযরত জিবরাঈল (আঃ) আগমন করেন এবং সূরায়ে কাহফ অবতীর্ণ হয়।
এ সূরার ২৩-২৪ আয়াতে রাসূল (স.) কে ইনশা আল্লাহ না বলার কারনে শাসানো হয়। গুহায় ৩০৯ বছর কাটানো যুবকদের ঘটনা বর্ণনা করা হয়। ঐ ভ্রমণকারী তথা জুলকারনাইন এর বর্ণনা দেয়া হয় এবং রূহের ব্যাপারে জবাব দেয়া হয়।
শিক্ষনীয়ঃভবিষ্যতের কোন বিষয়ে অবশ্যই ই নশা আল্লাহ বলতে হবে। এবং, আপনি যা কিছু সম্পর্কে অবগত নন, তা আল্লাহর উপর ছেড়ে দিন।
Discussion about this post