হাইয়া ‘আলাস-সালাহ, হাইয়া ‘আলাল-ফালাহ – এই ডাকটি আমরা কতবার শুনে এড়িয়ে গিয়েছি। কিন্তু ভেবে দেখেছি এর মানে? কিসের আহ্বান? কেন বার বার এই ডাক দেওয়া হয়?
এটি হচ্ছে সফলতার আহ্বান, এটা সাময়িক নয়; অনন্তকালের সফলতা; জান্নাত। এই ডাকের সহজ মানে হচ্ছে – “নামাজের জন্য এসো, সফলতার জন্য এসো”। এত সফল ব্র্যান্ডের কথা কখনও কেউ শুনেছে কিনা আমার জানা নেই, যা প্রতিদিন পাঁচবার আমাদের চারপাশের থেকে সমুউচ্চ স্বরে ধ্বনিত হচ্ছে। কুরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা অনেক আয়াতে উল্লেখ করেছেন নামাযের ব্যাপারে; কয়েকটি আয়াত উল্লেখ করলাম:
“অবশ্যই বিশ্বাসীগণ সফলকাম হয়েছে। যারা নিজেদের নামাজে বিনয়-নম্র” (সূরা মুমিনূন, আয়াত ১-২)
“…তোমরা নিজেদের সেই ঘরগুলোকে কিবলামূখী করে বানাও এবং তাতে নামাজ প্রতিষ্ঠা কর। আর মুমিনদের সুসংবাদ দাও” (সূরা ইউনুস, আয়াত ৮৭)
“নিঃসন্দেহে যারা ঈমান এনেছে এবং ভালো কাজ করে, নামাজ প্রতিষ্ঠা করে ও যাকাত দেয়, তাদের পুরষ্কার তাদের প্রতিপালকের নিকট আছে…” (সূরা বাকারাহ আয়াত ২৭৭)
“…এবং নামাজ প্রতিষ্ঠা করো, নিঃসন্দেহে নামাজ (মানুষকে) অশ্লীলতা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে…” (সূরা আনকাবুত: ৪৫)
লক্ষ্য করে দেখুন সফলতা, সুসংবাদ, পুরষ্কার এবং খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকার উৎসাহ উপরের আয়াত গুলোতে উল্লিখিত হয়েছে; যার মূল হচ্ছে এই সফল ব্র্যান্ডটির উত্তম বাস্তবায়ন। এখন বলুন, যে জিনিসে এত সফলতা, সে বিধান পালনের দায়িত্ব কি এড়ানো যায়? ধরুন, আমরা মোবাইল ফোন কিনতে গেলাম; তাহলে আইফোন, এন্ড্রোয়েড ফোন ইত্যাদির মতো পপুলার ব্র্যান্ড গুলোর খোঁজ করব? তাহলে ইবাদতের বেলায় কেন নামাজের আহ্বানে সাড়া দেব না?
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাই বলেছেন – “কিয়ামতের দিন যে জিনিসের হিসাব সর্বপ্রথমে নেওয়া হবে তা হল নামায” [আবু দাউদ]। ইবরাহীম আ’লাইহিস সালাম দোয়া করেছেন:
“আমার প্রভু। আমাকে নামাযে সুপ্রতিষ্টিত করে দাও, আর আমার বংশধরদের থেকেও; আমার প্রভু। আমার আমার প্রার্থনা কবুল কর।” (সূরা ইব্রাহিম: ৪০)
আমরাও সেই দুয়াই করি, যেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা সমস্ত মুসলিমদের সঠিকভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ বাস্তবায়ন করার সুযোগ করে দেন, যাতে আমরা সফল হতে পারি। আমিন।
Discussion about this post