“নিশ্চয়ই কোন প্রাণী ততক্ষণ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করবে না, যতক্ষণ-না তার জন্য বরাদ্দ জীবিকা শেষ হয়; যদিও তা পেতে দেরি হয়। সুতরাং তোমরা আল্লাহ্ তা’আলাকে ভয় কর এবং জীবিকা সন্ধানে মধ্যমপন্থা অবলম্বন কর। যা হালাল তা গ্রহণ কর এবং যা হারাম তা বর্জন কর।”
-রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
[ইবনু মাজাহ: ২১৪৪ (সহিহ)]
.
অতএব, রিযিকের ব্যাপারে কোনভাবেই বেশি চিন্তা করা যাবে না, হতাশ হওয়া যাবে না। আমাদের জন্য বরাদ্দ রিযিক আমরা পাবই- সেটা যেকোনো উপায়েই হোক-না কেন। তবে, সেই সময়টার জন্য সবর করতে হবে।
.
আল্লাহ্ বলেন, “আর যে আল্লাহ্কে ভয় করে, তার জন্য তিনি (সমস্যা থেকে) বের হওয়ার উপায় করে দেন এবং তাকে এমন স্থান থেকে রিযিক দান করেন, যা সে কল্পনাও করতে পারে না। আর যে আল্লাহর উপর ভরসা করে তিনি তার জন্য যথেষ্ট হন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তার কাজ চূড়ান্তকারী। অবশ্যই আল্লাহ্ প্রত্যেক কাজের জন্য একটি (নির্দিষ্ট) পরিমাণ ঠিক করে রেখেছেন।” [সূরা ত্বলাক্ব: ২-৩]
.
যতটুকু রিযিক হলে জীবন চলে যাবে, ততটুকু থেকে আল্লাহ্ কাউকে বঞ্চিত করেন না। স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন কাটানোর জন্য বা বিলাসিতার জন্য মানুষ রিযিক নিয়ে বেশি অভিযোগ করে এবং আল্লাহর অবাধ্যতায় লিপ্ত হয়ে সীমালঙ্ঘন করে। সুতরাং, হে আদম সন্তান! তুমি রিযিকের ব্যাপারে সবর করো। দুনিয়াতে যা কামাই করবা, তার এক পয়সাও কবরে নিতে পারবা না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “সেই ব্যক্তি প্রকৃত সফল, যে ইসলাম গ্রহণ করেছে, আর তাকে জীবন ধারণে (অভাবও নয়; বিলাসও নয়) পর্যাপ্ত পরিমাণ রিজিক দেওয়া হয়েছে এবং আল্লাহ তাকে যা দিয়েছেন তাতে তুষ্টও করেছেন।” [মুসলিম: ২৪৭৩, তিরমিযি: ২৩৪৮, আহমদ: ৬৫৭২]
.
অতএব, রিযিকের পেরেশানিতে আল্লাহকে ভুলে যেও না। অভাবে পতিত হলে আল্লাহর কাছেই ফিরে যাও। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি অভাবে পতিত হয়, অতপর তা সে মানুষের কাছে সোপর্দ করে (অভাব দূরীকরণে মানুষের ওপর নির্ভরশীল হয়), তার অভাব মোচন করা হয় না। পক্ষান্তরে যে অভাবে পতিত হয়ে এর প্রতিকারে আল্লাহর ওপর নির্ভরশীল হয়, তবে অনিতবিলম্বে আল্লাহ তাকে তরিৎ বা ধীর রিজিক দেবেন।” [তিরমিযি: ২৮৯৬, মুসনাদ আহমদ: ৪২১৮]
Discussion about this post